মাসিক ঋতুচক্র
সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মেয়েরা একটু আগেই ঋতুমতী হয়ে থাকে। ১১ বছর থেকে শুরু করে ১৪ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ মেয়ের ঋতুচক্র শুরু হয়ে থাকে। আর ৪০ থেকে শুরু করে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত ঋতু চলতে পারে। তবে ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যেই সাধারণত ঋতু বন্ধ বা মেনোপজ (Menopause) হয়ে থাকে। এ সময়টিও মেয়েদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শীতপ্রধান দেশের মেয়েরা সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সে প্রথম ঋতুমতী হয়ে থাকে।
যদি কোনো কারণে দেখা যায় যে ১৫ বছর বয়সের পরও কোনো মেয়ে ঋতুমতী হচ্ছে না, তাহলে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আবার সন্তান ধারণের সময় মেয়েদের মাসিক বন্ধ থাকে এটা স্বাভাবিক নিয়ম। যদি সন্তান ধারণকালে মাসিক শুরু হয়, তৎক্ষণাৎ একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
মাসিক সাধারণত ২৮ দিন অন্তর অন্তর হয়। কারো কারো ৩০/৩৫/৪০ দিন অন্তর হয়। সাধারণত ৪/৫ দিন স্থায়ী থেকে বন্ধ হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে ৩ দিন হয়ে বন্ধ হয় আবার কারো ক্ষেত্রে ৭ দিন হয়ে বন্ধ হয়। ৪/৫ দিন স্থায়ী ঋতুই স্বাভাবিক বলে ধরা হয়।
ঋতুচক্র শুরুর কারণ
যৌবনের শুরুতে পিটুইটারির নিয়ন্ত্রণে মাসে একবার করে একটি পরিণত ডিম্বকোষ ওভারি থেকে বেরিয়ে পড়ে। এটি ঘটে ঋতুচক্রের ১০/১৫ দিনের মধ্যে। অতঃপর গর্ভনালী বেয়ে ডিম্বকোষটি চলে যায় জরায়ুতে।
ডিম্বকোষটি বেরিয়ে যাওয়ায় ওভারিতে সৃষ্টি হয় একটি হলুদ রঙের তরল পদার্থ। এ থেকেই ‘প্রজেসটেরোন’ নামে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়ে জরায়ুর বৃদ্ধি ও নিয়মিত মাসিকের সূত্রপাত ঘটায়।
মাসিক পূর্ব লক্ষণ
ক. শারীরিক লক্ষণ
খ. মানসিক লক্ষণ
১. মাসিক শুরু হওয়ার ২/১ দিন পূর্বে অথবা মাসিক চলাকালীন মাথাব্যথা
২. পিঠে ব্যথা
৩.পেটে ব্যথা
৪. মাথা ঝিমঝিম ভাব
৫.সাইনুসাইটিস
৬.একনি বা মুখে ব্রণ
৭. স্তন ভারি লাগা বা স্তনে ব্যথা
৮.পায়ের গোড়ালির গাঁটে ব্যথা
৯.হাঁটু, ঊরু ইত্যাদির ব্যথা
১০.খাবারে অরুচি
১১.কোমরে ব্যথা
১. হঠাৎ আচরণ পরিবর্তন
২. টেনশন
৩.অস্বস্তিবোধ
৪. বিষণ্ণতা বা কান্নাকান্না ভাব
৫.মনোযোগের অভাব
৬.আলস্য ভাব
৭. অল্পে রেগে যাওয়া
৮.চুপচাপ বসে থাকা